ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভিপি প্রার্থী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সহসভাপতি আবদুল কাদের ফেসবুকে লেখেন— “ডাকসুতে জেতা আমার লক্ষ্য নয়, আমি শুধু বেঁচে থাকতে চাই।” তাঁর এই আবেগঘন স্ট্যাটাসের পরেই ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাদেরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নিজের পোস্টে রাকিবুল ইসলাম উল্লেখ করেন, “কাদের, আমি তোমাকে আশ্বাস দিচ্ছি— স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির উত্তরসূরিদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সর্বাত্মকভাবে তোমার পাশে থাকবে, ইনশাআল্লাহ।” তিনি আরও দাবি করেন, সাইবার হামলা ও অনলাইনে অপপ্রচার চালাতে প্রশিক্ষিত গোষ্ঠী শুধু নারী নেতৃত্ব নয়, ভিন্নমতের শিক্ষার্থীদেরও নিয়মিতভাবে হয়রানি করছে। এসব ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে, আবদুল কাদের অভিযোগ করেছেন যে, রাজাকার প্রসঙ্গে কথা বলায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমনকি তাঁর মাকেও হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে তিনি জানান। আতঙ্কের পরিস্থিতি তুলে ধরে কাদের লেখেন, “আমাকে অন্তত এতটুকু দয়া করুন যেন আমি বেঁচে থাকতে পারি।”
আবদুল কাদের এর আগে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে ৯ দফা দাবির অন্যতম ঘোষক হিসেবে আলোচনায় আসেন। গত বছরের সরকারবিরোধী আন্দোলনে যখন সাতজন সমন্বয়ককে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল, তখন কাদেরের পাঠানো বার্তাই ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপত্র। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যেসব শিক্ষার্থী অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে ছিলেন, তাঁদের নিয়ে গঠিত সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়কের দায়িত্ব পান তিনি।
আবদুল কাদের বিজয় একাত্তর হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।