মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও এক চমকপ্রদ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেন।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পরপরই পেন্টাগনের সাইনবোর্ড বদলে যায়। শুধু তাই নয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের নতুন পদবি হয়েছে ‘যুদ্ধমন্ত্রী’, আর তার ডেপুটি স্টিভ ফেইনবার্গকে ডাকা হবে ‘উপ-যুদ্ধমন্ত্রী’ নামে।
ট্রাম্পের বক্তব্য:
“এটি একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন। আমাদের সামরিক বাহিনী কেবল প্রতিরক্ষায় সীমাবদ্ধ থাকবে না, আক্রমণাত্মক ভূমিকাতেও অগ্রসর হবে,” বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
পেছনের ইতিহাস:
১৯৪৯ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে ‘War Department’ বা যুদ্ধ বিভাগ নামে ডাকা হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শান্তি ও প্রতিরোধমূলক ভাবমূর্তি তুলে ধরতেই নাম বদলে হয় Defense Department।
সমালোচনা:
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন করতে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে। কারণ কেবল পেন্টাগনের সাইনবোর্ড নয়, বিশ্বব্যাপী মার্কিন সামরিক ঘাঁটির আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র, চিঠিপত্র ও অন্যান্য কাঠামোতেও পরিবর্তন আনতে হবে। অনেকে একে অপ্রয়োজনীয় এবং বিভ্রান্তিকর পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।