ডাকসু নির্বাচন আজ: নতুন প্রত্যাশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলার ডাক বাংলার ডাক প্রকাশিত: ১২:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসে অনেক পরিবর্তন এসেছে—গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি বন্ধ, হল দখলের রাজনীতি থেমে যাওয়া এবং শিক্ষার্থীদের আর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জোর করে অংশগ্রহণ না করানো। এসব পরিবর্তনকে স্থায়ী করতে এবং ছাত্ররাজনীতিকে সুস্থ ধারায় ফেরাতে এই নির্বাচনকে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখছেন। ডাকসুর শতবর্ষে ৩৮তম নির্বাচন ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত ডাকসুর এটি ৩৮তম নির্বাচন। স্বাধীনতার পর এই দীর্ঘ সময়েও মাত্র সাতবার ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। অথচ ষাটের দশক পর্যন্ত ডাকসু ছিল সাংস্কৃতিক ও শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার প্ল্যাটফর্ম। পরে তা পরিণত হয় জাতীয় রাজনীতির নেতৃত্ব তৈরির জায়গায়। এবার শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা—ডাকসু হোক তাদের স্বার্থরক্ষার প্রকৃত মঞ্চ। প্রথমবার হলের বাইরে ভোট অতীতের অভিজ্ঞতায় এবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে আবাসিক হলের বাইরে। নির্ধারিত ৮ কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী তাদের ভোট দেবেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। তবে যারা চারটার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন, তারা সবাই ভোট দিতে পারবেন। ভোট শেষে আজ রাতেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার ব্যবস্থা ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ক্যাম্পাসে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টিএসসি এলাকায় পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষ বসানো হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট গণনার লাইভ সম্প্রচার থাকবে এলইডি স্ক্রিনে। ভোটারদের সারি নিয়ন্ত্রণে থাকবে বিএনসিসি, রোভার ও রেঞ্জার সদস্যরা। প্রার্থী ও ভোটার সংখ্যা গতবারের (২০১৯) তুলনায় এবার ভোটার কিছুটা কম—৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। তবে প্রার্থী দ্বিগুণের বেশি। ডাকসুর ২৮ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী, আর ১৮ হল সংসদের ২৩৪ পদে লড়ছেন ১ হাজার ৩৫ জন। প্রার্থীদের মধ্যে সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হলেও সংখ্যা এখনো কম। বড় পরিবর্তন এবার বয়সসীমা তুলে নেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ থাকায় তাদের কোনো প্যানেল নেই। শীর্ষ পদগুলোয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জোট, বামপন্থী প্রতিরোধ পর্ষদ ও কয়েকটি স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে। প্রচারণায় শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়েছে, অভিযোগ তুলনামূলক কম। নতুন সংযোজন হিসেবে এবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রার্থীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী বিতর্কের আয়োজন করেছে। প্রত্যাশা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস, নিয়মিত ও স্বচ্ছ নির্বাচন চালু থাকলে ডাকসু একটি টেকসই গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্মে রূপ নেবে। প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, “উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ডাকসুর এই অভিজ্ঞতা দেশের অন্যত্রও অনুসরণীয় হতে পারে।” SHARES ক্যাম্পাস বিষয়: ছাত্র সংসদ নির্বাচনছাত্ররাজনীতিডাকসু ইতিহাসডাকসু নির্বাচনডাকসু ফলাফলডাকসু ভোটডাকসু ২০২৫ডিইউ ক্যাম্পাস নিউজডিইউ নির্বাচনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসবাংলাদেশ ছাত্ররাজনীতিবিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনভিপি নির্বাচনহল সংসদ নির্বাচন