নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের নির্বাচনী প্রতীকও স্থগিত থাকবে। এ অবস্থায় তারা সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে অংশ নিতে পারবে না। তবে প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো সম্ভব কি না—সে বিষয়ে সময়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আজ বুধবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। যদিও আওয়ামী লীগের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি, তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিতাদেশ বহাল থাকলে তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেন নির্বাচন কমিশনার।
সানাউল্লাহ আরও বলেন, সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে তালিকাভুক্ত করা,
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ,
আদালতের ফেরারি আসামিদের নির্বাচন অযোগ্য ঘোষণা,
সরকারি মালিকানাধীন (৫০% বা তার বেশি) প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিংবা লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তিদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্যতা,
প্রার্থীর হলফনামায় তথ্য গোপন বা ভুয়া তথ্য দিলে সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিধান।
এছাড়া প্রার্থীর জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
আরও কিছু পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে—
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে ব্যালটে থাকবে ‘না’ ভোটের সুযোগ,
জোটবদ্ধ নির্বাচন হলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে,
ইভিএম সম্পর্কিত সব বিধান বাতিল,
গণমাধ্যম কর্মীদের ভোট গণনায় উপস্থিত থাকার অনুমতি,
পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা,
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আচরণবিধি ভঙ্গের ওপর কঠোর নজরদারি।
তিনি বলেন, যেসব দলের নিবন্ধন স্থগিত থাকবে, তাদের প্রতীকও সংরক্ষিত থাকবে এবং নির্বাচনে ব্যবহার করা যাবে না।