চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ফেসবুকে ‘আপত্তিকর ভিডিও’ পোস্টকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এ ঘটনায় ভিডিও পোস্ট করা এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার রাত ১০টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মুবিন ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ দেন। রোববার বেলা ৩টা পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জশনে জুলুসে যাওয়া গাড়িবহরের এক যুবক হাটহাজারী বড় মসজিদের উদ্দেশে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করে একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। ওই ভিডিও ভাইরাল হলে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় কওমি লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে ফটিকছড়ি থানা-পুলিশ যুবকটিকে আটক করে।
সন্ধ্যার পর দুই পক্ষের মধ্যে ঢিল–পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সড়ক ছাড়তে অনুরোধ করে এবং তাঁরা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে সুন্নি জনতা হাটহাজারীর কাচারি সড়কে অবস্থান নেন। দুই পক্ষই টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে হাটহাজারী–খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১১টা পর্যন্ত উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে ছিল।
ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে দুই পক্ষই দাবি করেছে।
অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী নামানো হবে।’