প্রেমের সম্পর্ক থেকে সংসারের পথে যাত্রা—তাও আবার হাসপাতালের শয্যায়। মানিকগঞ্জে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক যুবকের পাশে দাঁড়ালেন তাঁর প্রিয়তমা। হাতে-পায়ে প্লাস্টার আর ব্যান্ডেজ নিয়েই সম্পন্ন হলো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
গত ৭ আগস্ট রাতে ঢাকা থেকে ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে আহত হন মানিকগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে আনন্দ সাহা। দুর্ঘটনায় তাঁর দুই হাত ও একটি পা ভেঙে যায়, কোমরে লাগে গুরুতর আঘাত। বর্তমানে তিনি মানিকগঞ্জের আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এমন পরিস্থিতিতে পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারিত ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগেই বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের হলরুমেই সম্পন্ন হয় আনন্দ সাহা ও ঘিওরের বানিয়াজুরী গ্রামের মেয়ে অমরিতা সরকারের বিয়ে। তিনি বর্তমানে মানিকগঞ্জ শহরের খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, শয্যায় শুয়ে থাকা অবস্থাতেই ব্যান্ডেজ বাঁধা হাতে নববধূর সিঁদুর পরাচ্ছেন আনন্দ। ধর্মীয় আচার অনুযায়ী সীমিত পরিসরে বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগীর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়, এতে অন্য কোনো রোগীর চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটেনি।
আনন্দের স্বজনরা জানান, বড় আয়োজনে বিয়ে করার পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানে তাঁর চিকিৎসাই পরিবারের প্রধান লক্ষ্য। তাই সীমিত পরিসরে হলেও এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছে। নবদম্পতির জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।