২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় সংঘটিত গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাস বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে এই রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের কিছু অংশে আংশিক সংশোধন আনা হলেও আসামিদের খালাস বহাল থাকে।
গত ২১ আগস্ট টানা পাঁচ দিনের শুনানি শেষ হওয়ার পর মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বেঞ্চে প্রবেশ করেন বিচারপতিরা এবং ১০টা ১৮ মিনিটে রায় ঘোষণা সম্পন্ন হয়।
মামলার প্রেক্ষাপট
২০০৪ সালের ওই গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন এবং শতাধিক মানুষ আহত হন। ঘটনাটির পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় দেন। ওই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়। তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অন্যদিকে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
রায়ের পর ডেথ রেফারেন্সসহ মামলার নথি হাইকোর্টে আসে। নিয়ম অনুযায়ী কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্টের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিলও শুনানির আওতায় আসে।
২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর হাইকোর্টে মামলার শুনানি শুরু হয়। পরে ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রায় দিয়ে সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করে। একই সঙ্গে আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে তাঁদের খালাস দেয়।
আজ আপিল বিভাগও হাইকোর্টের সেই রায় বহাল রাখে, ফলে মামলার সব আসামির সাজা থেকে মুক্তি নিশ্চিত হয়।